Home

Brands

Skinpro

Skinpro

coral

Coral

Hawaa | Safwah Mart For an easy, healthy and happy living

Hawaa

Farmasi

Farmasi

Wet n Wild

Wet n Wild

Kodomo

Kodomo

Pierre Cardin

Pierre Cardin

Lilac

Lilac

Pastel

Pastel

Zact

Zact

safwah

Safwah

note

Note

Panam Care

Panam Care

Rajkonna

Rajkonna

The Lafz

The Lafz

No Brand

Safwah Jewellery

Diva's secret

Diva's secret

Flormar

Flormar

Milani

Milani

Focallure

Focallure

L.A. Girl

L.A. Girl

J.Cat

J.Cat

Nirvana Color

Nirvana Color

i2cure

i2Cure

mumtaz

Mumtaz

Lavino

Lavino

Guerniss

Guerniss

Freyias

Freyias

Alix Avien

Alix Avien

Zayn Myza

Zayn Myza

Groome

Groome

Absolute New York

ABNY

Clariss

Clariss

Revolution

Revolution

Skin Cafe

Skin Cafe

Pink Flash

Pink Flash

Article

আপনার ত্বককে সুন্দর করবে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড

হায়ালুরনিক অ্যাসিড কি?হায়ালুরনিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে উৎপন্ন হয়। এটি ত্বক এবং চোখের মধ্যে পাওয়া যায়। এর কাজ টিস্যুকে ময়শ্চারাইজ করার জন্য ত্বকে পানি ধরে রাখা। হায়ালুরনিক অ্যাসিড কিভাবে কাজ করে?হায়ালুরনিক অ্যাসিড পানিকে আবদ্ধ করে, এবং একটি জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে, যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ইলাস্টিন এবং কোলাজেন ফাইবারের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে ত্বকের ফাইন লাইনস এবং রিঙ্কেলস কমিয়ে আনে। এটি ত্বকের তারুণ্য ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। হায়ালুরনিক অ্যাসিড ত্বকের জ্বালাভাব কমিয়ে এবং রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে।                                                                               কেন আমাদের হায়ালুরনিক অ্যাসিড সিরাম প্রয়োজন?বয়সের সাথে সাথে শরীরে হায়ালুরনিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমতে থাকে, যা রিঙ্কেলস এবং ফাইন লাইন্সের কারন। হায়ালুরনিক অ্যাসিড ত্বকের তারুণ্যভাব ও সুস্থতা বজায় রাখে এবং ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে বিলম্ব করে। হায়ালুরনিক অ্যাসিড সিরামের উপকারিতা? ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে ত্বকের টেক্সচার এবং টোন উন্নত করেঅ্যান্টি-রিঙ্কেল এবং অ্যান্টি-এজিংসূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করেব্রণ কমাতে সাহায্য করে                                                                                         ZM Hyaluronic Acid 1.5% & 24k Gold Face Serum কিনতে ক্লিক করুন।          Lafz Radiance Boost Face Serum - Hyaluronic Acid 2% কিনতে ক্লিক করুন। কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি? হায়ালুরনিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে উৎপন্ন হয়, তাই এটি ব্যবহারে কোন অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হওয়ার সুযোগ একেবারেই কম। আপনি যদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করেন তার কারন হলোঃ পণ্যের অন্যান্য উপাদান বা আপনি কত ঘন ঘন ব্যবহার করছেন বা হায়ালুরনিক অ্যাসিডের ঘনত্ব যদি বেশী হয়।                                                                                                                                                                ZM Cocoa Coffee Moisturizing Cream কিনতে ক্লিক করুন।এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? আপনার মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে আলতোভাবে মুছে নিন। পুরো মুখ এবং ঘাড়ে ২-৩ ফোঁটা সিরাম লাগান। সিরাম শোষিত না হওয়া পর্যন্ত আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। সিরাম প্রয়োগের পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার ব্যবহার করুন। এটি সকল ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায়। নারী ও পুরুষ উভয়ই হায়ালুরনিক অ্যাসিড সিরাম ব্যবহার করতে পারে। 
Read more

গরমে ছেলেদের ত্বকের যত্ন

আধুনিক যুগে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে ছেলেদের ত্বকের যত্ন নেয়া অপরিহার্য। ছেলেদের ত্বকের যত্নের জন্য কিছু টিপস হলঃ ফেসওয়াশ ব্যবহারমুখ ধোওয়ার জন্য ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত এবং সপ্তাহে অন্তত দুদিন স্ক্র্যাব করা উচিত। এই গরমে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করলে, মুখের ত্বকে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রে ময়লা জমে তা থেকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না এবং এতে ব্রণের সমস্যারও সমাধান হবে। তাই প্রতিদিন অবশ্যই দুইবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তাতে এই গরমে মুখ থাকবে ফ্রেশ, মন থাকবে ফুরফুরে।                                                                                                                                                                ZM Tea Tree & Salicylic Acid Foaming Facewash - For Men কিনতে ক্লিক করুন ।সানস্ক্রিনও জরুরিএই গরমে সূর্যরশ্মির হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে অবশ্যই নিজেকে যতটা পারেন, ঢেকে রাখুন, প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করুন। আর হাতের পাতা, ঘাড়, মুখ এবং ত্বকের যে সব অংশ খোলা থাকে ও রোদের সংস্পর্শে আসে সেসব অংশে রোদে বের হবার আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে কিছুতেই ভুলবেন না। প্রখর রোদের বেগুনিরশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে বাইরে বেরোলেই চাই সানস্ক্রিন। ব্রড-স্পেকট্রাম, ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্ট, এসপিএফ থারটি রয়েছে, এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখুনসাধারণত ত্বক শুষ্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকের নানা সমস্যা বাড়তে থাকে। এ জন্য হালকা প্রকৃতির ময়শ্চারাইজার ব্যবহার খুব জরুরি। এটি যে শুধু ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে, তা নয়। ত্বকে বয়সের ছাপও পড়তে দেয় না। ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের সবচেয়ে ভালো সময় গোসল ও শেভ করার পর।                                                                                                                                                                             ZM Cocoa Coffee Moisturizing Cream কিনতে ক্লিক করুন । সঠিক পদ্ধতিতে শেভযারা নিয়মিত শেভ করেন, তাদের কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। যেমন সঠিক পদ্ধতিতে শেভ না করলে রেজার বার্ন বা রেজার বাম্পের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা এড়াতে সিঙ্গল বা ডাবল ব্লেড রেজার ছেড়ে মাল্টি ব্লেড রেজার ব্যবহার করা উচিত। পানি পান করুনএই গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন যা আপনার শরীর ও ত্বককে হাইড্রেটেড রাখবে। পানি পানের পাশাপাশি এই সময়ে ডাব, ফলের রস খেতে পারেন। 
Read more

ত্বকের যত্নে রেটিনল সিরাম

রেটিনল কী?রেটিনল হলো ভিটামিন এ, যা ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়। রেটিনল সিরাম ত্বকে কিভাবে কাজ করে?ত্বককে সুস্থ রাখতে ত্বকে কোলাজেনের ভূমিকা অন্যতম। যখন ত্বকের কোলাজেনগুলা ফ্রি রেডিকাল দ্বারা ধ্বংস হয় অথবা বয়স বাড়ার সাথে সাথে কোলাজেনের পরিমান কমে যায় বা অন্য কোন কারণে কোলাজেন ভালোভাবে কাজ করে না তখন ত্বকের বিন্যাসে ত্রুটি দেখা দেয়। এমন অবস্থায় ত্বকে সেবাম অতিরিক্ত হারে উৎপন্ন হয় যা তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে। যখন রেটিনল ত্বকে ব্যবহার করা হয় তখন রেটিনল এর ক্ষুদ্র মলিকিউলসগুলো ত্বকের উপরের ভাগ থেকে গভীরে শোষিত হয়। এটি ফ্রি রেডিক্যালসগুলো সরিয়ে কোলাজেন, ইলাসটিন ও ত্বকের নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে এটি ত্বকে ব্রণ, ফাইন লাইনস, রিংকেলস ও পোরস কমায় ও পুনরায় হওয়া থেকে বাধা দেয়। এছাড়াও, এটি ত্বকে নতুন রক্তনালী তৈরীতে সাহায্য করে, যা ত্বকের কালো দাগ কমাতে সহায়তা করে।                                                                                                                                        Clariss Face Wash Lemon কিনতে ক্লিক করুন                               Clariss Face Wash Neem কিনতে ক্লিক করুনরেটিনল সিরাম ব্যবহার করার উপকারিতা:ব্রণ কমায়ব্রণের দাগ ও মুখের কালো দাগ কমায়ত্বকের তৈলাক্ত ও চিটচিটে ভাব কমায়ফাইন লাইন্স ও রিংকেলস কমায়ত্বকের উজ্জ্বল করে এবং ত্বকের টোন সমান করে রেটিনল সিরাম কিভাবে ব্যবহার করবেন:মুখ ধুয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর সিরামের ২-৩ ফোটা সম্পূর্ন মুখে লাগান ।যতক্ষণ পর্যন্ত সিরাম মুখে শোষিত না হচ্ছে উপরের দিকে ও সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন। এরপর ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করুন। এটি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ব্যবহার করুন। দিনে অবশ্যই সান স্ক্রিন ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহারে রাতারাতি সফলতা আসবে না, ফলাফল পেতে এটি অন্ততপক্ষে টানা ৩ মাস ব্যবহার করুন।                                                                                                                                                                                          ZM Retinol Face Serum with Rosehip Extracts কিনতে ক্লিক করুনরেটিনলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:আমেরিকার খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (USFDA) রেটিনল সিরামকে ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে, তবে গর্ভাবস্থায় এবং বাচ্চাকে স্তন্যপান করানোর সময়কালীন রেটিনল সিরাম প্রয়োগ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। রেটিনল সিরামের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো শুষ্কভাব, লালচে ত্বক, চামড়া উঠা এবং চুলকানি।                                                                                                                                                                                        Skin Cafe Sunscreen Spf 50 Pa+++ Lightweight & Non-Greasy কিনতে ক্লিক করুনরেটিনলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিভাবে নিয়ন্ত্রন করবেন:প্রতিদিনের পরিবর্তে প্রথমে কয়েকদিন পর পর ব্যবহার করুন, তারপর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দিলে এটির ব্যবহার বাড়িয়ে দিন। প্রথমে খুব কম ঘনত্বে ব্যবহার করুন, তারপর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দিলে এটির ঘনত্ব বাড়িয়ে দিন।মুখ ধুয়ার পরে রেটিনল সিরাম ব্যবহার করার আগে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।যদি আপনার ত্বক রোদে পোড়া বা কাটাছেড়া বা অন্য জ্বালা-পোড়ার সমস্যা থাকে তবে রেটিনল সিরাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।SPF 30 যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এবং সূর্যের সংস্পর্শ কমাতে সূর্য থেকে সুরক্ষামূলক পোশাক এবং টুপি পরুন।এটি শুধুমাত্র রাতে ব্যবহার করুন।
Read more

The Ultimate Menopause Skincare Routine for Radiant Skin

Menopause is a normal stage of a woman's life that marks the end of her reproductive years. It offers insight and freedom, but it also causes profound changes in our bodies, especially our skin. Menopause's hormonal swings can cause dryness, fine wrinkles, and other skin issues, leaving many women disappointed and looking for remedies.Anyone can restore her skin's natural beauty and radiance with the right information and a devoted skincare program. These skin changes might affect your self-esteem and confidence, making you feel less beautiful and lively.  Your glowing, healthy skin reflects your inner beauty and power if you follow this thorough skincare strategy. Hormonal Changes During Menopause Menopause is mostly caused by hormonal changes, namely a drop in estrogen levels. The hormonal swings have a profound impact on your skin. It loses elasticity and moisture retention. As your estrogen levels drop, you may find that your skin becomes drier, more sensitive, and more prone to fine lines and wrinkles.These changes might be discouraging and influence your self-esteem. Understanding the hormonal changes is the first step toward resolving these issues. While you can't go back in time, you can change your skincare regimen to nurture and renew your skin.Skincare for Mature SkinThe demands of mature skin differ from those of younger skin. As you approach menopause, you should modify your skincare routine to meet these new needs.Neglecting these requirements might result in a dull complexion and hasten the aging process. Choose skincare products created exclusively for aged skin to maintain your skin healthy and bright.Wrinkle Reduction in MenopauseWrinkles often become more pronounced during menopause due to the loss of collagen and changes in skin texture. Collagen, a protein responsible for skin elasticity, tends to decrease during menopause. As a result, these wrinkles can make you appear older and your skin may lose its youthfulness and self-confidence.Natural Skincare During MenopauseNatural skincare products and ingredients can be a valuable addition to your routine, providing nourishment and support for your skin.Not taking advantage of these natural remedies might mean missing out on their benefits. Explore the benefits of incorporating natural elements into your skincare regimen and discover simple DIY solutions for menopausal skin.The Core Components of Menopause SkincareYour menopause skincare routine should include these essential components:Cleanser: Start with a gentle, hydrating cleanser to remove impurities without stripping your skin of natural oils.Serum: Incorporate a serum rich in antioxidants and hydrating ingredients to combat dryness and signs of aging.Moisturizer: Choose a moisturizer that provides long-lasting hydration, and consider products labeled "for mature skin."Sunscreen: Sun protection is vital. Use a broad-spectrum sunscreen with at least SPF 30 to shield your skin from harmful UV rays. Creating Your Personalized Menopause Skincare Routine  1. Morning Routine: - Gentle clean face with a cleanser.    - Apply a serum that addresses your specific skin concerns.  - Follow with a moisturizer suited for mature skin. - Finish with sunscreen.2. Evening Routine:  - Start with a gentle cleanser.   - Apply a nighttime serum that targets signs of aging or hyperpigmentation.  - Use a rich night cream to lock in moisture.Hydration and Menopausal SkinHydration is key to healthy, radiant skin, and maintaining it during menopause is crucial. Neglecting to moisturize your skin can lead to dryness, flakiness, and a dull complexion. Discover the importance of hydration in your skincare routine and learn how to select the right products to maintain skin moisture. Menopause Skincare ProductsWithout guidance, you may spend money on products that don't effectively address your skin concerns. Choosing the right skincare products can be overwhelming, given the abundance of options on the market. In this section, we'll recommend specific products that have proven effective for menopausal skin, catering to different budgets and preferences.CleanserSerumMoisturizerSunscreenNight CreamMenopause Skincare Tips Effective skincare requires a holistic approach, with attention to details that can make a significant difference. Without these practical tips, you might not achieve the desired results. In this section, we'll provide valuable tips and tricks to enhance your menopause skincare routine for the best outcomes. Elasticity and Menopausal Skin Maintaining skin elasticity is a key concern during menopause, as the loss of firmness can impact your appearance. Without a plan to address this, you may struggle with sagging skin and related confidence issues. Healthy Aging Skin Care The way you care for your skin during menopause can significantly impact the aging process. Neglecting your skin's needs might mean missing out on an opportunity to age gracefully. Conclusion Menopause is a normal and transforming stage in a woman's life, characterized by hormonal changes that might influence her skin. Menopause-related hormonal changes can cause dryness, fine wrinkles, and other skin issues. However, with the appropriate skincare regimen, you can keep your skin glowing and healthy during this change.  Menopause doesn't have to mean sacrificing bright and healthy skin. You can keep your skin's natural beauty by recognizing the hormonal shifts and implementing a specialized menopausal skincare plan. Remember to stick to your routine and get individualized guidance from a dermatologist. Accept this stage of your life with confidence and radiant skin.
Read more

Unlock the Secret Winter Skincare Tips and Tricks

Winter is approaching.  People are already suffering from thousands of skin problems.  There are some reasons for that.  So much pollution dust, and smoke will affect the skin.The roughness increases many times during winter.  The problem of cracked skin is eternal.  Apart from this, problems like skin eruption, skin flaking, and eczema are also seen.  But if the skin can be taken care of before winter, then skin cracks and other such winter problems can be saved a lot.Why is skin care during winter important?Winter skincare is like preparing your skin for hibernation. It needs extra care to survive the cold. Due to the temperature drop, your skin also changes. Winter's cold, dry air can strip away your skin's natural moisture, leaving it dry, flaky, and more prone to irritation. The skin's protective barrier weakens, making it susceptible to damage. According to the American Academy of Dermatology, about 81% of individuals experience an increase in skin issues during the winter months.What should we apply as skin care during winter?Good skincare is essential, especially during the winter months. Your skin is your body's largest organ, and taking good care of it means taking good care of your overall health. In winter, skincare should revolve around hydration, protection, and repair. Proper winter skin care is essential to safeguard your skin from these harsh elements and maintain its health and radiance.Tips to follow for Winter skincare Winter is a beautiful season filled with cozy sweaters, hot beverages, and the magic of snowfall. However, it's also a time when your skin requires extra attention and care. But don't worry, we're here to reveal the best-kept secrets of winter skincare that will help you look and feel your best all season long.Moisturize in the day & nightA reliable moisturizer is your best companion during the winter. Start your day with a hydrating moisturizer, and choose a richer one for the night to seal in moisture.Use an SPFDon't be deceived by the chilly weather – UV rays are still at play. Apply a broad-spectrum sunscreen daily to shield your skin from these damaging rays.Stay hydrated with waterHydration isn't just about products; it starts from within. Drinking plenty of water helps keep your skin well-hydrated from the inside out.Avoid hot showerWhile it's tempting to soak in a hot bath or shower, it can strip your skin of its essential oils.More than lip balmsChapped lips are a common winter woe. Choose a lip balm with ingredients like shea butter, beeswax, or coconut oil for maximum protection.Daily Skincare For Winter According To Different Types of SkinSkincare is a personal journey. What works for someone else may not work for you. It's all about understanding your unique skin type and needs.Your winter skincare routine should be tailored to your specific skin type:Winter Skincare Tips for Normal SkinNormal skin is balanced and doesn't lean too oily or too dry. To maintain its health and vibrancy during the winter months, consider the following tips:Gentle Cleansing: Use a mild, hydrating cleanser to remove impurities without over-drying your skin.Toner: Apply an alcohol-free, hydrating toner to maintain your skin's pH balance and prepare it for the next steps in your routine.Hydration: Incorporate a hyaluronic acid serum to lock in moisture. Hyaluronic acid can hold up to 1,000 times its weight in water, making it ideal for maintaining hydration.Moisturizer: Opt for a lightweight, non-comedogenic moisturizer to seal in the serum and provide hydration without making your skin feel greasy.Sunscreen: Even during winter, don't forget to use a broad-spectrum SPF 30 or higher to protect your skin from UV damage.Winter Skincare Tips for Dry SkinDry skin craves hydration and moisture, especially during the winter when it's more prone to flakiness and tightness. Here are some winter skincare tips for dry skin:Creamy Cleanser: Use a hydrating, creamy cleanser to gently remove impurities without stripping your skin of its natural oils.Alcohol-Free Toner: Apply an alcohol-free toner with ingredients like glycerin or rose water to add extra hydration.Hyaluronic Acid Serum: Incorporate a hyaluronic acid serum to boost moisture retention.Rich Moisturizer: Opt for a rich, emollient moisturizer that provides a protective barrier to lock in hydration and prevent moisture loss.Sunscreen: Don't skip sunscreen, even on cloudy days. UV rays can still damage dry skin.Humidifier: Consider using a humidifier in your home to add moisture to the indoor air, which can alleviate dryness.Winter Skincare Tips for Oily SkinOily skin requires careful balance during winter to prevent excessive oiliness without over-drying. Here are some tips for a winter skincare routine for oily skin:Gel Cleanser: Use a gentle, foaming gel cleanser to remove excess oil and impurities without over-drying.Astringent Toner: Apply a toner with astringent properties like witch hazel to help control excess oil.Oil-Free Serum: Choose an oil-free serum with ingredients like salicylic acid or niacinamide to address specific skin concerns.Lightweight Moisturizer: Opt for a lightweight, oil-free moisturizer to provide adequate hydration without feeling heavy.Sunscreen: Even oily skin needs sun protection. Use a non-comedogenic, matte-finish sunscreen.Winter Skincare Tips for Combination SkinCombination skin presents a unique challenge during winter as it can be both dry and oily in different areas. Here's how to balance both aspects:Cleanser: Use a gentle, pH-balanced cleanser to cleanse your face without over-drying any specific areas.Hydrating Toner: Apply a hydrating toner to keep your skin balanced.Serums: Customize your serum selection based on your skin's specific needs. For dry areas, use a hydrating serum, and for oily areas, use a lightweight, oil-free serum.Lightweight Moisturizer: Apply a lightweight, non-comedogenic moisturizer to keep your skin hydrated without exacerbating oiliness.Sunscreen: As always, use sunscreen to protect your skin from UV damage.Best skincare product for the winter seasonThe star of the winter skincare season is undeniably a top-quality, hydrating moisturizer. Select products that contain ingredients such as hyaluronic acid, glycerin, and ceramides. These elements lock in moisture, reinforce your skin's protective barrier, and keep it nourished throughout the winter. According to a survey conducted  48% of respondents stated that moisturizer is their most essential winter skincare product. Conclusion As you embrace the winter season's charm, don't forget that your skin deserves attention and care. Consistency is key to maintaining healthy and radiant skin. Tailor your skincare routine to your skin type, use the right products, and keep your body well-hydrated to face the cold months confidently. By unlocking the secrets of winter skincare, you can enjoy the beauty of the season without worrying about your skin's health.
Read more

Breast Cancer Awareness

কেন স্তন ক্যান্সার সচেতনতা এত গুরুত্বপূর্ণ?বিশ্বে প্রতি আটজনের মধ্যে একজন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।বাংলাদেশেও বাড়ছে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসি'র হিসেবে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৩ হাজারের বেশি নারী নতুন করে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। মারা যান ৬৭৮৩ জন। নারী ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে ১৯% স্তন ক্যান্সারে ভোগেন। বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে স্তন ক্যান্সার শীর্ষে রয়েছে।স্তন ক্যান্সার কি?স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে, ওই অনিয়মিত ও অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা পিণ্ডে পরিণত হয়। সেটি রক্তনালীর লসিকা (কোষ-রস) ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাই ক্যান্সার। চিকিৎসকদের মতে, যেকোন নারীই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। ত্বকের ক্যান্সার ছাড়া মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সার।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন মহিলার জীবনে তার স্তন ক্যান্সার হওয়ার গড় ঝুঁকি প্রায় ১২%, বা ৮ জনের মধ্যে ১জন।  একজন মহিলার স্তন ক্যান্সারে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ২.৬%, বা ৩৮ জনের মধ্যে ১জন।স্তন ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ প্রতিটি মহিলার জানা উচিত যে তার স্তনগুলি সাধারণত কেমন দেখায়, সে কেমন অনুভব করে এবং যাতে কোনো পরিবর্তন ঘটলে সে চিনতে পারে। এখন একজন মহিলার নিয়মিত ম্যামোগ্রাম এবং ক্লিনিকাল স্তন পরীক্ষা করা উচিত, কারণ এই পরীক্ষাগুলি দ্বারা উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করা যায়।স্তন ক্যান্সারের লক্ষণগুলোর মধ্যে স্তনে বা আন্ডারআর্মে পিণ্ড (বগল)স্তনের সমস্ত বা অংশবিশেষ ফুলে যাওয়া বা ঘন হওয়াস্তনের ত্বকে ডিম্পলিং বা ত্বকের জ্বালাস্ক্রমাগত স্তনে ব্যথাস্তনের বোঁটা বা স্তনের ত্বকের লালভাব, আঁশ বা ঘন হয়ে যাওয়াস্তনের স্রাব (স্তনের দুধ ছাড়া)স্তনের আকার বা আকৃতিতে পরিবর্তনস্তন ক্যান্সারের পরীক্ষা নিরীক্ষাসাধারণত তিনটি পরীক্ষার সাহায্যে স্তন ক্যান্সার সনাক্ত করা হয়।  প্রত্যেকের কিছু নিজস্ব সুবিধা এবং ঝুঁকি রয়েছে।  মহিলাদের উচিত পরীক্ষার নিরীক্ষার আগে সেরা বিকল্প হিসেবে তাদের ডাক্তারের সাথে কথা বলা১.  ম্যামোগ্রাম: এটি হল স্তনের একটি এক্স-রে পরীক্ষা যা স্তনের পরিবর্তনগুলি সনাক্ত এবং মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়।  এর সনাক্তকরণ ক্ষমতা টিউমারের আকার এবং স্তনের টিস্যুর ঘনত্বের উপর নির্ভর করে।  ত্রিমাত্রিক (3D) ম্যামোগ্রাফি হল এক ধরনের ডিজিটাল ম্যামোগ্রাফি যেখানে এক্স-রে মেশিনগুলি বিভিন্ন কোণ থেকে স্তনের পাতলা টুকরোগুলির ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করা হয় এবং একটি ছবি পুনর্গঠনের জন্য কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয়।  ২. আল্ট্রাসাউন্ড: স্তনের আল্ট্রাসাউন্ড প্রায়ই ম্যামোগ্রাফির সাথে ব্যবহার করা হয় উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ মহিলাদের জন্য যারা এমআরআই করাতে পারেন না, এবং ঘন স্তনের টিস্যুযুক্ত মহিলাদের জন্য।  ৩.এমআরআই:  স্তন এমআরআই (চৌম্বকীয় অনুরণন ইমেজিং) উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মহিলাদের স্ক্রীন করতে এবং ম্যামোগ্রাম বা আল্ট্রাসাউন্ডে পাওয়া সন্দেহজনক এলাকা সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ স্তন ক্যান্সারের প্রধান ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে একজন মহিলা হওয়া এবং বয়স্ক হওয়া (বেশিরভাগ স্তন ক্যান্সার 55 বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলাদের মধ্যে পাওয়া যায়)।  ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন অনিয়ন্ত্রিত কারণগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত/পারিবারিক ইতিহাস, জাতি, স্তনের ঘনত্ব এবং মাসিকের ইতিহাস।  এছাড়াও, নির্দিষ্ট স্তন ক্যান্সারের জিনের পরিবর্তন (BRCA1 এবং BRCA2) স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও কিছু ঝুঁকির কারণ জীবনযাত্রার সাথে সম্পর্কিত, যার মধ্যে রয়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার, মেনোপজের পরে হরমোন থেরাপি, অতিরিক্ত সন্তান ধারণ করা, অ্যালকোহল পান করা, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূল হওয়া এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকা। স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর উপায় একটি সুস্থ জীবনযাপন করতে হবে।অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি এড়াতে শারীরিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হতে হবে। খাদ্য গ্রহণের ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত। নিয়মিত স্তনের যত্ন নিতে হবে। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে।  প্রতি সপ্তাহে, কমপক্ষে  ৩ ঘণ্টা হাঁটতে হবে। অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে।  উপসংহার: স্তন ক্যান্সার একটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য উদ্বেগ যা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ নারী এবং তাদের পরিবারকে প্রভাবিত করে। স্তন ক্যান্সার সচেতনতা, সনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধের উপায় জানা থাকলে বেচে যাবে অনেক মা বোনের জীবন। এইজন্য সকল মা বোনদের স্তন ক্যান্সার বিষয়ে সচেতন করা উচিত।
Read more

নিপাহ ভাইরাস সচেতনতা

নিপাহ ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পেতে সচেতনতাসাম্প্রতিক বছরগুলোতে, পুরো বিশ্ব বেশ কয়েকটি সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে, যার ফলে ব্যাপক আতঙ্ক ও মানুষের জীবনে হুমকি সৃষ্টি হয়েছে।  এই হুমকিগুলির মধ্যে, নিপাহ ভাইরাস একটি বিশেষভাবে আলোচিত এবং মারাত্মক ভাইরাস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।  যদিও নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব তুলনামূলকভাবে খুব কম, তবুও তারা জনস্বাস্থ্য এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। নিপাহ ভাইরাসের উৎপত্তি নিপাহ ভাইরাস (NIV) প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল 1999। এটি মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে শূকর এবং মানুষের মধ্যে রোগের প্রাদুর্ভাবের পরে আবিষ্কৃত হয়।  এই প্রাদুর্ভাবের ফলে প্রায় 300 জন মানুষের ঘটনা ঘটে এবং 100 টিরও বেশি মৃত্যু ঘটে এবং একটি উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রভাব সৃষ্টি করে কারণ প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য 1 মিলিয়নেরও বেশি শূকরকে হত্যা করা হয়েছিল। যদিও 1999 সাল থেকে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে এনআইভি-এর অন্য কোন প্রাদুর্ভাব ঘটেনি, তখন থেকে এশিয়ার কিছু অংশে প্রায় বার্ষিক প্রাদুর্ভাব রেকর্ড করা হয়েছে - প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশসহ বাংলাদেশ এবং ভারতে।  এই প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ভাইরাসটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে, যা বিশ্বব্যাপী মহামারী সৃষ্টি করার জন্য NiV-এর সম্ভাব্যতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়। ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়েছে মালয়েশিয়ার সুঙ্গাই নিপাহ গ্রামের নামে, যেখানে এটি প্রাথমিকভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল।নিপাহ ভাইরাস যেভাবে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায়নিপাহ ভাইরাস হচ্ছে এমন একটি ভাইরাস যা সাধারণত বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। ভাইরাসটি প্রাথমিকভাবে শুকর বা বাদুড়কে  সংক্রমিত করে এবং সংক্রমিত বাদুড়, তাদের শারীরিক তরল দ্বারা  ফল দূষিত করে বা খাদ্যদ্রব্যের সাথে সরাসরি মেশার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হয়। কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত হলে তার সংস্পর্শে থাকা অন্যজনেরও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।। তবে এই ভাইরাসটির প্রধান বাহক হল বাদুড়। বাংলাদেশ আর ভারতে মূলত কাঁচা খেজুরের রস থেকে নিপাহ ছড়ায়, আর খেজুরের রসে বাদুড়ের প্রস্রাব অথবা লালা থেকে ভাইরাসটি মিশে যায়।ভাইরাসের লক্ষণগুলো নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণগুলো হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে মস্তিষ্কের ফুলে যাওয়া (এনসেফালাইটিস) এবং সম্ভাব্য মৃত্যু সহ হালকা থেকে গুরুতর রোগ হতে পারে। লক্ষণগুলি সাধারণত ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার 4-14 দিনের মধ্যে প্রদর্শিত হয়।  অসুস্থতা প্রাথমিকভাবে 3-14 দিনের জ্বর এবং মাথাব্যথা হিসাবে উপস্থাপন করে এবং প্রায়ই শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলি অন্তর্ভুক্ত করে।   লক্ষণগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে নিম্নলিখিত একটি বা একাধিক অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যেমন: জ্বর মাথাব্যথা কাশি গলা ব্যথা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া বমি গুরুতর লক্ষণগুলো মধ্যে যেমন: বিভ্রান্তি, তন্দ্রা বা বিভ্রান্তি খিঁচুনি কোমামস্তিষ্কের ফুলে যাওয়া (এনসেফালাইটিস) এই মরণঘ্যাতি ভাইরাসে 40-75% ক্ষেত্রে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।  নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে, যার মধ্যে ক্রমাগত খিঁচুনি এবং ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন রয়েছে।নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধ ব্যবস্থানিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে জনসচেতনতা, নজরদারি এবং কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন সহ বিভিন্ন পদক্ষেপের সমন্বয়ের উপর নির্ভর করে।  নিপাহ ভাইরাসের বিস্তার রোধে এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে যেমন:নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাঅসুস্থ বাদুড় বা শুকরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাএমন এলাকা এড়িয়ে চলা যেখানে বাদুড় বাস করেবাদুড় দ্বারা দূষিত হতে পারে এমন পণ্য খাওয়া বা পান করা এড়িয়ে চলা যেমন কাঁচা খেজুরের রস, কাঁচা ফল বা মাটিতে পাওয়া ফলNiV সংক্রামিত বলে পরিচিত যে কোনো ব্যক্তির রক্ত ​​বা শরীরের তরলের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুনসংক্রামিত পশুদের অবিলম্বে কোয়ারেন্টাইনে রাখা শূকর খামারের সঠিক পরিচ্ছন্নতা ও জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করুন।বাদুড় বিশ্রাম বা ঘুমানোর জন্য পরিচিত গাছ বা ঝোপ থেকে দূরে থাকা।দূষিত হতে পারে এমন খাবার এবং পানীয়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকা, যেমন পাম স্যাপ বা ফল।  খাওয়ার আগে খেজুরের রস সিদ্ধ করা এবং ফলগুলো ভালভাবে ধুয়ে এবং খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া ।বাদুড়ের কামড় বা মাটি স্পর্শ করেছে এমন কোনো ফল ফেলে দেওয়া।ভাইরাস সংক্রমণ কার্যকরী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং পরিচর্যাকারীদের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য নিপাহ ভাইরাস রোগীদের সাথে কাজ করার সময় কঠোর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুসরণ করা উচিত।বিচ্ছিন্নতানিপাহ ভাইরাসের সন্দেহজনক বা নিশ্চিত কেসগুলো থেকে সংক্রমণ রোধ করতে আলাদা করা উচিত।  এই উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।জনসচেতনতানিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকি, এর লক্ষণ এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য।  সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সম্প্রদায়কে ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত ও শিক্ষিত করা উচিত।টিকা নিশ্চিতকরণযদিও নিপাহ ভাইরাসের জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল চিকিত্সা নেই, ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বিকাশের আশায় ভ্যাকসিনের উপর গবেষণা চলছে।সারা বিশ্বের সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবনিপাহ ভাইরাস, অন্যান্য উদীয়মান সংক্রামক রোগের মতো, কোন সীমানা জানে না।  এর প্রাদুর্ভাবের সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলি প্রশমিত করতে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা প্রয়োজন।  বিশ্বব্যাপী সরকার, স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলিকে কার্যকর প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কৌশল বিকাশের জন্য একসাথে কাজ করতে হবে।চিকিৎসা ব্যবস্থা বর্তমানে নিপাহ ভাইরাস (NiV) সংক্রমণের থেকে রক্ষার জন্য কোন লাইসেন্সকৃত চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই।  বিশ্রাম, হাইড্রেশন এবং উপসর্গ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা সহ সহায়ক যত্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে, ইমিউনোথেরাপিউটিক চিকিৎসা (মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি) রয়েছে যা বর্তমানে এনআইভি সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য বিকাশ এবং মূল্যায়নের অধীনে রয়েছে।  এরকম একটি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি, m102.4, ফেজ 1 ক্লিনিকাল ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে এবং এটি স্বল্প মাত্রায় ব্যবহার করা হয়েছে।  প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়ান এনআইভি প্রাদুর্ভাবের সময় অল্প সংখ্যক রোগীর চিকিৎসার জন্য ওষুধ রিবাভিরিন ব্যবহার করা হয়েছিল, কিন্তু মানুষের মধ্যে এর কার্যকারিতা অস্পষ্ট। উপসংহারনিপাহ ভাইরাস একটি মারাত্মক জীবাণু যা বিভিন্ন দেশে প্রাদুর্ভাব ঘটিয়েছে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।  ভবিষ্যতের প্রাদুর্ভাব রোধে ভাইরাসের উৎপত্তি, সংক্রমণ এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  নিপাহ ভাইরাস বোঝার মাধ্যমে এবং এর সংক্রমণ কমাতে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে, আমরা ব্যক্তি এবং সম্প্রদায় উভয়কেই এই বিপজ্জনক রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করতে পারি।  সরকার, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এবং জনসাধারণের জন্য যেকোন সম্ভাব্য নিপা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জন্য কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সচেতন থাকা এবং প্রস্তুত থাকা অপরিহার্য।
Read more

ঠাণ্ডায় এলার্জিতে যেভাবে সচেতনতা অবলম্বন করবেন

শীতের মাস যত ঘনিয়ে আসছে, পৃথিবী তত তুষারাবৃত ভূমিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই এই ঋতুর সৌন্দর্যকে সাগ্রহে আলিঙ্গন করে। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য শীতকাল দুঃস্বপ্নের নাম। কারণ তারা কোল্ড অ্যালার্জি অবস্থায় ভুগছে। ঠাণ্ডায় এলার্জি কি? কোল্ড অ্যালার্জি, বা ঠান্ডা এলার্জি হল ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক ঠাণ্ডা তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসার ফলে শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন শুরু হয়।  সহজ কথায়, ঠান্ডা অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তির শরীরে চুলকানি, হাচি, কাশি এবং অন্যান্য অ্যালার্জির লক্ষণগুলো অনুভব করে যখন তাদের ত্বক ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসে। ঠাণ্ডা বাতাস, শীতকালীন ধুলাবালু, সিগারেটের ধোয়া, ফুলের রেণু, সুগন্ধি, তীব্র গন্ধ, পত্রিকা বা বই-খাতার ধুলা, ইত্যাদির উপস্থিতিতে অনেকের শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি বা অ্যাজমা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এগুলোও এলার্জির কারণ হতে পারে। ঠাণ্ডা অ্যালার্জি কেন হয়? মানুষের শ্বাসনালি ও নাসারন্ধ্রের স্নায়ুকোষের কিছু রিসেপ্টর আছে। এগুলো শ্বাসনালি ও কণ্ঠনালির সংকোচন ও প্রসারণ উদ্দীপ্তকারীর সঙ্গে সংযুক্ত। অ্যালার্জেনগুলো যখন শ্বাসনালির রিসেপ্টরের নার্ভ উদ্দীপ্ত করে তখন শ্বাসনালির মাংসপেশির সংকোচন ঘটে এবং শ্বাসনালি সরু হয়ে যায়। তখন ঠাণ্ডায় এলার্জি আক্রান্ত রোগীর শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি দেখা দেয়। তবে শীতকালে কেন এসব উপসর্গ বেশি হয়। ঠাণ্ডার কারণেইমিউন সিস্টেম ভুলভাবে ক্ষতিকারক পদার্থকে চিহ্নিত করে। তখন ত্বক ঠান্ডা হলে হিস্টামিন নিঃসৃত হয়, ফলে বিভিন্ন অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়।এছাড়াও যাদের রক্তে এলার্জির পরিমাণ বেশি তাদের ক্ষেত্রে ঠান্ডা এলার্জি বেশি দেখা যায়। তবে কিছু কারণে এই এলার্জি শরীরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে । যেমনবিভিন্ন পশু পাখির লোমকসমেটিক্স সামগ্রীগাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়ারাস্তার ধুলাবালিএলার্জি জাতীয় খাবার যেমন ইলিশ মাছ, বোয়াল মাছ, চিংড়ি, বেগুন, হাঁসের ডিম এগুলো থেকে মানবদেহে অ্যালর্জিজনিত সমস্যাগুলো বেশি প্রকট হয়ে ওঠে।আপনার অ্যালার্জি আছে কিনা তা কিভাবে বুঝবেন? অ্যালার্জি শনাক্ত করা, ঠান্ডায় অ্যালার্জি হোক বা অন্য কোনো ধরনের এলার্জি এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় হতে পারে।  আপনি যদি ঠান্ডা তাপমাত্রার সংস্পর্শে এসে আপনার ত্বকে চুলকানি, লালভাব, ফোলা বা নাকে সুরসুরি হাচি, কাশি,সর্দি  অনুভব করেন তবে আপনার ঠান্ডায় এলার্জি হতে পারে। আপনার অবস্থা নিশ্চিত করতে একজন দক্ষ এলার্জিস্টের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। ঠান্ডা এলার্জি বিশেষ কোনো রোগ না হলেও এটি মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশি বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে ।  উপসর্গনাক দিয়ে পানি পড়া,শরীরের বিভিন্ন জায়গা চুলকানো,হাচি কাশি, চোখ লাল হয়ে যাওয়াশরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যাওয়াশ্বাসকষ্ট বাঁশির মতো আওয়াজ বের হওয়া, বুক চেপে ধরা ইত্যাদি।অ্যালার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা ও করণীয় এলার্জির সমস্যায়  ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা ও বেশ  কিছু নিয়ম মেনে চললে ভাল ফল পাওয়া যায়। নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাওয়া। ভিটামিন সি জাতীয় ফল খেয়ে  শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তাছাড়া এলার্জির কারণে শরীর থেকে যে রস বের হয় সেখানে ঘি লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এলার্জির চিকিৎসা ঘি অত্যন্ত কার্যকর।  এছাড়াও অ্যালার্জি টেস্ট করে কারণ নির্ণয় করাযেসব খাওয়ারে এলার্জি আছে তা পরিহার করাঠাণ্ডা খাওয়ার না খেয়ে খাওয়ার গরম করে খাওয়াঠাণ্ডা বাতাস ও ধুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে মাস্ক পরানিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাস এর ব্যায়াম করা।ফুলের রেণু, সুগন্ধি এগুলো এড়িয়ে চলাকোল্ড ড্রিংক, আইসক্রিম না খাওয়াঠান্ডা এবং স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এড়িয়ে চলাঘরে কয়েল এর পরিবর্তে মশারি ব্যবহার করা এবং ধুমপান পরিহার করারুম স্প্রে ব্যবহার না করারান্নার ঝাঁঝালো গন্ধ থেকে দূরে থাকাঅ্যালার্জির রোগীরা দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শে টিকা নেওয়াসচেতনতা কখনো সম্পূর্ণরূপে এলার্জি নির্মূল করা সম্ভব হয় না। তবে ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে এলার্জির চিকিৎসা করার চেয়ে এলার্জি প্রতিরোধ করার সবচেয়ে উত্তম। তাই যদি আপনার ঠান্ডা এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে প্রথমে বের করতে হবে যে এই এলার্জির উৎস কোথায়? এলার্জির কারণ খুঁজে বের করে যে সকল কারনে এলার্জি জনিত সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। অর্থাৎ কোন খাবার বা কোন পরিবেশের কারণে এলার্জি হচ্ছে। এরপর সেগুলো সম্পর্ক জেনে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। ঠান্ডা অ্যালার্জি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। কারণ অনেক ব্যক্তি অসচেতন থাকার ফলে অজান্তে নীরবে এই সমস্যায় ভুগতে পারে।  ঠান্ডা অ্যালার্জির কারণ, লক্ষণ এবং করণীয় বর্জনীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া। নিজে জেনে অন্যকে জানানো। শীতকালে অনেক সচেতন থাকা। আত্মবিশ্বাসের সাথে শীতের ঋতুকে মোকাবিলা করা। গরম কাপড় পড়া। গরম কাপড়ের উলে অনেকের এলার্জি থাকে। তাই দেখেশুনে কাপড় পছন্দ করা। উপসংহার অনেক সময় হাচি কাশি নাক দিয়ে পানি পড়লে আমরা ভাবি এলার্জি।  না অনেক সময় ঠাণ্ডা জ্বরের কারণেও এমন হতে পারে। কোল্ড অ্যালার্জি সাধারণত খুব কম। কিন্তু যাদের এ অভিজ্ঞতা আছে এটি তাদের জীবনকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাই অনেক সচেতনতার সাথে জীবনযাপন করা উচিত। যে সকল কারণে আপনার ঠান্ডা এলার্জি হয়ে থাকে সেই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। এলার্জিজনিত খাবারগুলো পরিহার করে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা
Read more

শীতকালীন পিঠা: বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুতেও  পরিবর্তন ঘটে। কার্তিক অগ্রহায়ণ মাস হালকা হিমেল বাতাস দিয়ে জানান দেয় শীতকাল আসতে চলছে। কৃষকের মাঠ গুলো সোনালি ধানের হাসিতে ভরে ওঠে। শুরু হয় বাঙালির নবান্নের উৎসব যা চলে পুরো শীতকাল ব্যাপি। হেমন্তঋতু ও শীত ঋতু বাঙ্গালির জীবনে অনেক বেশি  প্রভার বিস্তার করে  অন্য ঋতুর তুলনায়। চারদিকে চলা নতুন ধান দিয়ে  নবান্ন উৎসবের আয়োজন এখন বাঙালির একটি সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে।বাঙালির জীবনে পিঠা ও শীতকালীন সংস্কৃতির প্রভাবশীতকালে মানে বাঙালির উৎসব উৎসব ভাব। পৌষ ও মাঘ মাস বাংলাদেশে শীতকাল হলেও নতুন চালে পিঠা খাওয়ার ধুম শুরু হয় কার্তিক মাসে নতুন ধান কাটার পর থেকেই। কার্তিকের মরা মঙ্গাকে অতিক্রম করে কৃষকের গোলা নতুন ধানে ভরে ওঠে। ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন চালের গুড়া দিয়ে পৌষ পার্বণে  পিঠা খাওয়ার প্রচলন অনেক প্রাচীন। অগ্রহায়ণ মাসের গোলা ভরা ধান থেকে করা নতুন চাল দিয়ে গ্রামের মা চাচি দাদি নানিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন পিঠা বানানো নিয়ে যা আমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ।প্রত্যেক দেশেরই লোকজ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থাকে। শীতের পিঠা বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অংশ। শীত আর পিঠা একে অপরের পরিপূরক বলা যায়।শীতের সকালে রোদে বসে নতুন চালের ধোঁয়া ওড়ানো গরম গরম পিঠাপুলি খাওয়ার মজাই আলাদা। নতুন চাল, খেজুরের রসের নতুন গুড়ে টইটম্বুর পিঠা বাঙালির শীত উদ্‌যাপনকে রঙিন ও উৎসবমুখর  করে তোলে।শীতকালীন বাঙালির সংস্কৃতিবাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি ভূমিকা প্রাচীনকাল থেকেই। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর বা সন্ধ্যায় গ্রামের বধূরা পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করে। হরেক রকমের রসনাজাতীয় পিঠা পায়েস দিয়ে গ্রামের মায়েরা ব্যস্ত হয়ে পরে নতুন জামাইকে আদর আপ্যায়ন করাতে।একসময় গ্রামে গঞ্জে মেয়েদের নতুন বিয়ের পরপর শশুড়বাড়িতে গুড়-মুড়ি-চিড়ে, পান-সুপারির সঙ্গে পাঠানো হতো বিশাল ডালাভর্তি অথবা রঙিন হাঁড়িভর্তি ফুলপিঠা, পাক্কন পিঠা। কিন্তু কালের আবর্তে এখন আর সে সংস্কৃতি নেই। তবে এখন এই সময়টাতে  মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটাই সাবলীল থাকার কারণে চলে বিয়ে শাদী, সুন্নতে খাৎনা,, বড় করে গায়ে হলুদ, মুখে ভাত, অতিথি আগমনের অনুষ্ঠান। আর এসব অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক রীতি নীতির সাথে থাকে পিঠা পুলির ব্যবহার।  আমাদের দেশে আত্মীয়স্বজন ও পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরও মজবুত করতে মুখরোচক রসে টুইটুম্বর পিঠা-পুলির উৎসব বিশেষ ভূমিকা পালন করে।শীতকালীন পিঠার ঐতিহ্যপ্রত্যেক দেশেরই ঐতিহ্যবাহী কিছু মিষ্টান্ন থাকে যা তাদের খাদ্য ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশ ও বাঙালির ক্ষেত্রে তা নিঃসন্দেহে পিঠা। পিঠা শুধু আমাদের জন্য  লোকজ খাবারই নয়, পিঠা আমাদের বাঙালির স্মৃতি ও লোকজ সংস্কৃতির  ভাণ্ডার ও ঐতিহ্যও বটে। প্রাচীন বাংলায় মিষ্টান্ন হিসাবে পিঠার জনপ্রিয়তাই ছিল সবচেয়ে বেশি। আমাদের দেশে শীতে মানেই আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি পিঠা-পুলির উৎসব। শীত মানেই গরম গরম ধোঁয়া ওঠা পিঠাপুলি, ক্ষির-পায়েস খাওয়ার ধুম। শীতের পিঠা পুলির গোড়াপত্তন গ্রামে হলেও এটি বাঙালির শেকড়ের আদি ঐতিহ্য। একসময় শুধুমাত্র শীতের পিঠার জন্য শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার রেওয়াজ ছিল। কিন্তু এখন পরিবারের  সবাই মিলে সে পিঠা খাওয়ার সেই উৎসব রীতি অনেকটাই ম্লান।পিঠা কত প্রকার ও কিকিএমন অনেক পিঠা আছে যা সারাদেশেই জনপ্রিয়। এগুলি হচ্ছে এগুলি হচ্ছে ভাপা পিঠা, চিতুই পিঠা, ঝাল পিঠা, ছাঁচ পিঠা, ছিটকা পিঠা, দুধ চিতই, নারকেল পিঠা, নারকেলের ভাজা পুলি, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জেলাফি,  বিবিখানা, চুটকি, চাপড়ি, ক্ষীর কুলি, গোকুল, গোলাপ ফুল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসফুল, জামদানি, ঝালপোয়া, ঝুরি পিঠা, ঝিনুক, সূর্যমুখী, নকশি, চাঁদ পাকান, ছিট, সুন্দরী পাকান, সরভাজা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান, পানতোয়া, মালপোয়া, মালাই, মুঠি, আন্দশা, কুলশি, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুরের পিঠা, তেজপাতা পিঠা, তেলের পিঠা, তেলপোয়া, দুধরাজ, ফুল ঝুরি, ফুল পিঠা, বিবিয়ানা, সেমাই পিঠা প্রভৃতি। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় পিঠা হচ্ছে ভাপা পিঠা এবং চিতুই পিঠা। কালের গভীরে কিছু পিঠা হারিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। শীতকালে শুধু গ্রামবাংলায়ই নয়, শহর এলাকায়ও এখন পিঠা পাওয়া যায়। পিঠা তৈরির সাধারণ উপাদান হচ্ছে চালের গুঁড়া, ময়দা, খেজুর গুড় বা চিনি, নারকেল ও তেল। অনেক সময় কিছু কিছু পিঠাতে মাংস ও সবজি ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে জনপ্রিয় কয়েকটি পিঠাভাপা পিঠাবাংলাদেশে জনপ্রিয় আরেকটি পিঠা হলো ভাপা পিঠা।  এ পিঠাকে কোথাও  ধুপি পিঠা বা ধুকি পিঠা নামে পরিচিত। বাষ্পে সিদ্ধ করা হয় বলে এই পিঠার নাম ভাপা পিঠা। চালের গুঁড়ো দিয়ে করা ছোট ছোট পিঠার মাঝখানে খেজুরের রসের নতুন গুড় আর নারিকেল থাকে।নকশি পিঠাবাংলাদেশ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি বড় উদাহরণ নকশি পিঠা।  পাক্কান পিঠা, ফুল পিঠা ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বেশি তৈরি হয়। চালের খামির বানিয়ে মোটা মোটা করে বেলে তার ওপরে খেজুর কাঁটা দিয়ে একটু গভীর করে আলপনা আঁকা হয়। এগুলোকে বলে ফুল নকশি পিঠা, পাক্কান পিঠা বা  সুঁই কাটা দিয়ে নকশা করা মুগপাক্কন পিঠা। তবে এর গোলাতে মুগ ডাল লাগে।চিতই পিঠাচিতই পিঠা বাংলাদেশের সব অঞ্চলের ধনী-দরিদ্র সবার কাছে পরিচিত ও প্রিয়। শহরের অলিগলিতেও দেখা যায় এ পিঠা। অনেক রকম ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়া হয়।  চিতই পিঠা খেজুরগুর ও নারকেলের পুর বা দুধে ভিজিয়ে খাওয়া হয়। পাটিসাপটা পিঠাপিঠার কথা উঠলে পাটিসাপটা পিঠার কথা বলতেই হবে। চালের গুঁড়ো ও খেজুর গুড়ের মোলায়েম আবরণের ভেতর ঘন দুধে তৈরি পায়েস বা নারকেল দিয়ে তৈরি করা হয় পাটিসাপটা পিঠা। এলাকাভেদে পাটিসাপটা পিঠা পরিবেশন ভিন্ন হলেও সবগুলোই হয় অনন্য সুস্বাদু।পুলি পিঠা পুলি পিঠাও বিভিন্ন উপায়ে তৈরি করা যায় ও খাওয়া যায়। তবে ঐতিহাবাহী পুলি পিঠা গুড় ও নারকেলের পুর দিয়ে তৈরি করা হয়। দুধ পুলিকে দুধে ভিজিয়ে রাখা হয় এবং স্বাদের জন্য মশলা ও খেজুর গুড় ও নারকেল ব্যবহার করা হয়। পুরে ভরা পুলি পিঠা তেলে ভাজা হয়।অঞ্চল ভেদে কিছু দেশীয় পিঠাবাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এ রকম অসংখ্য নাম জানা-না জানা  ঐতিহ্যবাহী পিঠা। অঞ্চল ভেদে কখনো কখনো একই পিঠার নাম অন্য রকম হয়। ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পিঠার মধ্যে আছে গুজা পিঠা, ডালরুটি,  ছানার মালপোয়া, বিবিখানা পিঠা, কলা পিঠা, মুখশলা পিঠা, চাপড়ি পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, মুঠি পিঠা, খেজুর পিঠা, ডিমের ঝাল পুয়া, তিল পুলি, সাবুর পিঠা। নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলের কিছু ঐতিহ্যবাহী পিঠা হল ডিমের পানতোয়া, খোলাজা পিঠা, নারিকেল পুলি পিঠা, নারিকেলের চিড়া। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কিছু পিঠা হল আতিক্কা পিঠা, বিন্নি পুলি, বিবিখানা পিঠা। সিলেটের গ্রামাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী কিছু পিঠার মধ্যে অন্যতম হল চুঙ্গাপুড়া পিঠা, নোনতা বা নুনগড়া পিঠা। খুলনা, বাগেরহাট অঞ্চলের মানুষের প্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী পিঠা হল হাতে বানানো হাত সেমাই পিঠা। উপসংহার  পিঠা তৈরি আবহমান বাংলার মা  মেয়েদের ঐতিহ্য। একসময় আমাদের দেশে শত শত নামের ধান ছিল, তখন বিচিত্র রকমের পিঠার নামও ছিল। পিঠা-পুলিকে কেন্দ্র আমাদের অনেক গান কবিতাও রচিত হয়েছে। তাই পিঠা পুলি অনেকটা আমাদের লোকজ সংস্কৃতিরই বহিঃপ্রকাশ বলা চলে। এতো বিচিত্র রকমের পিঠা হয়তো আর কোনো দেশে তৈরি হয় না। হাজারো বাধা ও সমস্যা সত্ত্বেও গ্রামবাংলায় মা বোন চাচি খালাদের পৌষ পার্বণে পিঠা বানানোর উদ্দীপনা এখনো মুছে যায়নি। শীতকালে নবান্নের সময় পিঠা-বানানোর এ আনন্দ ও ঐতিহ্য টিকে থাকুক যুগ যুগ ধরে বাংলার ঘরে ঘরে।
Read more

তাইয়াম্মুম করার সঠিক পদ্ধতি

তায়াম্মুম ইসলামি শরীয়তের একটি বিধান। পানি ব্যবহার করা অসম্ভব হলে বা পানি পাওয়া না গেলে পবিত্রতা অর্জনের লক্ষ্যে অন্য বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা কে তায়াম্মুম বলে। তায়াম্মুম একটি আরবি শব্দ। তায়াম্মুমের বাংলা অর্থ হল সংকল্প বা উদ্দেশ্য। পবিত্রতা অর্জনের জন্য অযু বা গোসলের বিকল্প ব্যবস্থাই হল তায়াম্মুম।  তায়াম্মুম করার অনেক বিধান ও নিয়ম রয়েছে। পবিত্রতা অর্জন করা ফরজ হলে পানির অনুপস্থিততে তায়াম্মুম করা ফরজ।আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন,{অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ করো।}[সূরা আল মায়েদা:৬]অপর দিকে বুখারী হাদিসের বর্ণনায়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমাকে এমন পাঁচটি জিনিস দেয়া হয়েছে যা আমার পূর্বে কাউকে দেয়া হয়নি: একমাস হেঁটে আসার দূরত্ব পর্যন্ত আমার ভীতি বিস্তৃত করে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। আর সমস্ত জমিন আমার জন্য মসজিদ ও পবিত্র করে দেয়া হয়েছে। অতঃপর আমার উম্মতের কোনো ব্যক্তির যখন নামাজের সময় হবে তখন সে যেন তা পড়ে নেয়।’(বর্ণনায় বুখারী)তায়াম্মুম কি?তায়াম্মুমের আভিধানিক অর্থ হল ইচ্ছা করা, সংকল্প করা, কোনো বিষয়ের প্রতি ধাবিত হওয়া।অপরদিকে শরীয়তের পরিভাষায় তায়াম্মুমের অর্থ হল পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশে চেহারা ও দু’হাত পবিত্র মাটি, পাথর দিয়ে মাসেহ করা। অসুস্থতা বা কোনো কারণে পানি ব্যবহারে অপারগ হলে অথবা যাত্রা অবস্থায় পানি পাওয়া না গেলে  পাথর কিংবা মাটি দিয়ে মুখ হাত পা মুছে পবিত্র হওয়াকে তায়াম্মুম বলে।কোন অবস্থায় তায়াম্মুম করা বৈধ এবং তা শরীয়তের বিধান?ইবাদতের সাথে পবিত্রতার সম্পর্ক গভীর ভাবে সম্পর্কিত।  ফরজ ইবাদত পালনে পবিত্র হওয়া ফরজ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে, পানি ব্যবহারে অসুস্থতা বেড়ে গেলে, দূর পথে যাত্রা অবস্থায় পানি ব্যবহার করা সম্ভব না হলে মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্রতার জন্য  সহজ বিধান অনুসারে তায়াম্মুমের বিধান দেন।তায়াম্মুম বৈধ বা জায়েজ হওয়ার কতগুলো বিধান রয়েছে। সেগুলো হল১. অনেক দুরের যাত্রা পথে মুসাফিরের জন্য পানি ব্যবহার করা কষ্টকর সে অবস্থায় তায়াম্মুম জায়েজ।২. পানি ব্যবহারের ফলে রুগ্ন ব্যক্তির রোগবৃদ্ধি আশঙ্কা থাকলে তার জন্য তায়াম্মুম করা বৈধ।৩. গোসল ফরজ এমন ব্যক্তি অধিক শীতের কারণে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা করলে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করার বৈধ।৪. কোনো স্হানে শত্রু বা হিংস্র প্রাণীর ভয়ে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে না পারলে তায়াম্মুম করা জায়েজ।৫.  পানির সংকট বা অধিক দাম দিয়ে পানি ক্রয় করতে হলে বা  পানির ক্রয় করতে অক্ষম তায়াম্মুম করা বৈধ।৬. ঈদের নামাজ অথবা জানাযা  ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে তায়াম্মুম করা জায়েজ। ৭. নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকলে তায়াম্মুম জায়েজ।তায়াম্মুমের ফরজগুলো কি কিতায়াম্মুম করার ফরজ ৬ টি১. প্রথমে নিয়ত করা। ২. মাটি বা পাথরের উপর দুহাত রাখা ৩. এরপর চেহারা মাসেহ করা। ৪. অতপর দু’হাত মাসেহ করা। ৫. ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আবার দুহাত মাটিতে রেখে হালকা ঝেড়ে প্রথমে চেহারা ও পরে দু’হাত মাসেহ করা। ৬. মুয়ালাত তথা অবিচ্ছিন্নতা বজায় রেখে চেহারা মাসেহ করার পর বিলম্ব না করে হাত মাসেহ করা।তায়াম্মুমের সুন্নাতগুলো কি কি১. শুরতেই প্রথমে বিসমিল্লাহ পড়া। ২. এরপর মুখমণ্ডল, পরে হাত মাসেহ করা। ৩. অবশ্যই মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করার মাঝে অন্য কোনো কাজ না করা। ৪. এরপর মাটির ওপর হাত হালকা ঘষে নেওয়া। ৫. এবং উভয় হাত ঝেড়ে ফেলা। ৬. অবশ্যই মাটির ওপর হাত রাখার সময় আঙুলগুলো সোজা রাখা। যেসব বস্তু দিয়ে তায়াম্মুম করা যাবে:পবিত্র মাটি, বালি, চুনা পাথর, কঙ্কর, মাটির তৈরি কাঁচা অথবা পাকা ইট, ধুলো-বালি, পাথর বা ইটের তৈরি দেয়াল। এছাড়াও কাপড়, লাকড়ী বা অন্য কোনো পবিত্র বস্তুতে ধুলাবালি লেগে থাকলে, এসব বস্তুর দিয়ে তায়াম্মুম করা যাবে।তায়াম্মুম করার পদ্ধতি১. প্রথমে মাটিতে একবার উভয় হাত রাখতে হবে। ২. এরপর ধুলা হালকা করার জন্য দু’হাতে ফুঁ অথবা হাত ঝেড়ে নিতে হবে। ৩. এরপর দু’হাত দিয়ে প্রথমে চেহারা মাসেহ করতে হবে। ৪. অতপর আবার মাটিতে দু’হাত রাখতে হবে। ৫. এরপর ধুলা হালকা করার জন্য দু’হাতে ফুঁ অথবা হাত ঝেড়ে নিতে হবে ৬. এখন বাম হাত ডান হাতের উপরের অংশে কনুই র্পযন্ত বুলিয়ে এবং কনুই থেকে নিচের অংশে কব্জি র্পযন্ত বুলাতে হবে। অতঃপর একই ভাবে ডান হাত দিয়ে বাম হাত বুলাতে হবে। যেসব কারণে তায়াম্মুম বাতিল হয়ে যায়১. পানি না থাকা।২. অজু ভেঙে যাওয়ার মত কিছু হওয়া যেমন বায়ু বের হওয়া।৩. গোসল ফরজ হওয়ার মতো এমন কিছু হওয়া, যেমন স্বপ্নদোষ।৪. পেশাব পায়খানার চাপ আসলে অজু যেমন ভেঙে যায় তেমনি তায়াম্মুম ও বাতিল হয়ে যায়।৫. পোশাকে কোনো রক্ত লাগলে অজুর মত তায়াম্মুমও বাতিল হয়ে যায়।উপসংহার কোরআন তেলাওয়াত এবং নামাজ এ জাতীয় ফরজ ইবাদতগুলোর জন্য পবিত্রতা জরুরি। স্বাভাবিকভাবে পবিত্রতার মাধ্যম হিসেবে অযু এবং গোসল করা ফরজ। তবে অনেকে অসুস্থ থাকার ফলে বা বিশেষ কোনও পরিস্থিতির কারণে অথবা সফরে থাকাকালীন অবস্থায় পানি ব্যবহার না করতে পারার কারণে ওযু ও গোসলের বিকল্প হিসেবে শরীয়তের বিধান অনুসারে তায়াম্মুমের মাধ্যমে পবিত্র হতে পারে।
Read more